সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
আজ ১৩ ডিসেম্বর, রূপগঞ্জ শত্রু মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জ শত্রু মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনতার প্রতিরোধের মুখে হায়েনার দল রূপগঞ্জ ছেড়ে কুমিল্লা জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধে রূপগঞ্জে ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। যাদের নামের তালিকাসহ রূপগঞ্জ উপজেলা চত্বরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা রূপগঞ্জকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা করেছিলো। প্রতি বছর রূপগঞ্জ মুক্ত দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এবারও রূপগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা করবে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আজ সকালে শহিতুননেসা স্কুল থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল হক।
প্রসঙ্গত রূপগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ মুক্তিযোদ্ধারা। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় এবং ঢাকার ত্রিমোহনীতে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন । পাকিস্তানি সেনারা ত্রিমোহনীত আক্রমন করলে গোলাম দস্তগীর গাজী গুলি চালাতে চালাতে সামনে এগিয়ে যান। পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে। সেদিনের আক্রমনে ১২/১৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার শহরে প্রধান গেরিলা বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম কমান্ডার ছিলেন তিনি । তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন (২০২০)।